গাড়ির ধাক্কায় সিভিক পুলিশ কর্মীর মৃত‍্যু : ফের প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

5th November 2020 7:56 pm বর্ধমান
গাড়ির ধাক্কায় সিভিক পুলিশ কর্মীর মৃত‍্যু : ফের প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : ফের গাড়ির ধাক্কায় মৃত‍্যু হল এক সিভিক পুলিশ কর্মীর । পূর্ব বর্ধমানের পুরষা র পর এবার দুর্ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর । মৃত সিভিক কর্মীর নাম বাপী বাউরি ( ৩০ ) । বড়জোড়া থানার কর্মরত সিভিক পুলিশ তিনি । 

দুর্গাপুর ব‍্যারেজের লক গেট ভেঙে যাওয়ার পর সারাই এর কাজ শুরু হয়েছে । দিনরাত কাজ চলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে । ব‍্যারেজে রাত্রিকালীন ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার জন‍্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে অপর সহকর্মী কাজে যোগ দেওয়ার জন‍্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন । সেই সময় একটি গাড়ি তাকে সজোড়ে ধাক্কা মারে । দুর্গাপুর  ব‍্যারেজেই মারা যান ওই সিভিক পুলিশ কর্মী । আকস্মিক ঘটনায় হতবাক সকলেই । নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন । 

বাঁকুড়া থেকে দেবব্রত মন্ডল ( প্রতিনিধি ) :  পুর্ব বর্ধমানের পর এবার বাঁকুড়াতেও পথদুর্ঘটনায় মৃত এক কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ারের । দুর্গাপুর ব্যারেজ মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার এর সূত্র মারফত জানতে পারা যায় মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার এর নাম বাপি বাউরী বয়স ৩০ বছর তার বাড়ি বড়জোড়া ব্লকের হাট আশুরিয়ায় । সম্প্রতি কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর গেট ভেঙে যায় এর পরেই বহু মানুষ ভিড় জমান দুর্গাপুর ড্যাম জলশূন্য অবস্থা দেখার জন্য । এমত অবস্থায় ব্রিজের দু'ধারে সিভিক পুলিশ মোতায়েন করা হয় যানজট করানোর জন্য আর সেখানেই এদিন সকাল থেকে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার দুর্গাপুর ব্যারেজ কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন ঠিক তখনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘাতক লরি টিকে আটক করেছে বড়জোড়া থানার পুলিশ । এরপর ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর মৃতদেহ বড়জোড়া থানার পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায় ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।